গণশক্তি ডেস্কঃ ঢাকা
অনেকে গাড়ির সামনে বসে পড়েন, অনেকে আবার গাড়ির ওপরে উঠে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
সরকার পতনের আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান-নিটোরের সামনে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা আন্দোলনে চিকিৎসাধীন সব আহতকে ‘না দেখেই চলে যাচ্ছেন’ অভিযোগ তুলে রাস্তা আটকে দেন বিক্ষুব্ধরা। এ সময় অনেকে তার গাড়ির সামনে বসে পড়েন, অনেকে আবার গাড়ির ওপরে উঠে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
পরে উপদেষ্টা চলে গেলেও পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। তাতে শ্যামলীর শিশু মেলা থেকে আগারগাঁওয়ের দিকে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিটোরে যান নুরজাহান বেগম। ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন
একদল বৃটিশ চিকিৎসক আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা দিতে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।
নিটোরের চতুর্থ তলায় আন্দোলনে আহতদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ডে যান উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম। তিনি ওই ওয়ার্ড ঘুরে ঘুরে আহতদের সঙ্গে কথাও বলেন।
বেলা পৌনে ১টার দিকে হাসপাতাল থেকে বের হচ্ছিলেন উপদেষ্টা। এ সময় জরুরি বিভাগের সামনে থাকা উপদেষ্টার গাড়ি বহরের সামনে বিক্ষুব্ধদের অবস্থান নিতে দেখা যায়।
খায়রুল নামে একজন বলেন, “আমাদের চিকিৎসা হচ্ছে না। এ কারণে আমরা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছি। আমাদের দাবি সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।”
হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করাসহ নানা দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষু্ব্ধরা।
পরে নূরজাহান বেগম ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত অন্য একটি গাড়িতে করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন সাংবাদিকরা। তারা বলছেন, সমন্বয়ক এবং উপদেষ্টাদের কেউ এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা না বলা পর্যন্ত তারা তারা সড়ক ছাড়বেন না।