মোঃ সাবিউদ্দিন: প্রথমে চার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। তবে সেটা এখন ১৩ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) তাপমাত্রা আরও কমে তা বিস্তৃতি লাভ করেছে। উত্তরের ঠান্ডা বাতাসের কারণে সারাদেশেই বর্তমানে তীব্র শীতের অনুভূতি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে হলে মাঝারি ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়।
ঘন কুয়াশার কারণে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলেই দিনে সেভাবে সূর্যের দেখা যায়নি। তাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গেছে। কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও কম। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান ৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সঙ্গে উত্তর দিক থেকে বইছে হিমেল বাতাস। তাই সারাদেশেই তীব্র শীতে জবুথবু অবস্থা।
দিনাজপুরে সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। একদিন আগে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলী ও চুয়াডাঙ্গায়। এদিন সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ কুয়াশায় ঢাকা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের (৮ জেলা) ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ।
২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তিনি জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।