• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম

বিতর্কের অবসান

Reporter Name / ৬৫ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্টঃ

রাষ্ট্রপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন

অফিস থেকে বলা হয়েছে যে, তিনি এটা বলেননি। ৫ই আগস্ট তিনি আমাদের সামনে প্রধানমন্ত্রীর

পদত্যাগের কথা বলেছেন। তার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণেও একই কথা বলেছেন। এখন তার এই বক্তব্য স্পষ্ট করার জন্য আমরা ইতিমধ্যেই বলেছি। এখন তার পদে থাকার বিষয়ে আমরা রাজনৈতিকভাবে আলোচনা করছি। আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত শিগগিরই এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, প্রেসিডেন্টের দ্বিমুখী বক্তব্য জাতির সঙ্গে শঠতার শামিল। গণঅভ্যুত্থানে গঠিত নতুন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন।

গতকাল বিকালে পুরানা পল্টনে অবস্থিত আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, আমরা মনে করি, প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যের মাধ্যমে যে ধুম্রজাল তৈরি করেছেন তাতে এই পদে থাকার নৈতিকতা তিনি হারিয়েছেন। তার বক্তব্যের মাধ্যমে জনগণকে ক্ষুব্ধ করেছে। নতুন একটা ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে যেহেতু সংসদ নাই সেহেতু এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে মতামত নিতে হবে। এর বাইরে বঙ্গভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করলে এবং প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে পদত্যাগের দাবি করলে সম্ভব হবে না। এটা রাষ্ট্রের জন্য শোভনীয়ও নয়। আমি মনে করি, অতি উৎসাহী আন্দোলনগুলো বন্ধ হওয়া দরকার এবং সরকারের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা প্রক্রিয়া বের করা দরকার।

প্রেসিডেন্টের থাকা না থাকা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত: নাহিদ

মো. সাহাবুদ্দিন প্রেসিডেন্ট থাকবেন কি থাকবেন না, এই প্রশ্নটি এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আইনি বা সাংবিধানিক কোনো প্রশ্ন নয়- বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। রাজনৈতিক সমঝোতা এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। তিনি বলেন, এটি একেবারেই একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন উপদেষ্টা নাহিদ। অন্তর্বর্তী সরকার একটি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সমর্থনে গঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সে সময় বিদ্যমান সংবিধান এবং রাষ্ট্রপতিকে রেখেই সরকার গঠন করেছিলাম। কিন্তু যদি আমাদের মনে হয় এই সেটআপে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে অথবা জনগণ এই সেটআপে অসন্তুষ্ট, তাহলে এই বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাববো।

প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হলে তা সাংবাদিকদের জানানো হবে। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এমনটাই জানান তিনি। শফিকুল আলম বলেন, প্রেসিডেন্টকে অপসারণের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ ও আলটিমেটাম নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অবস্থান তো আপনারা দেখছেন, যারা বিক্ষোভ করছে তারা যেন বঙ্গভবনের আশপাশ থেকে সরে যায় সেটার জন্য বলেছি। বঙ্গভবনের সিকিউরিটি বাড়িয়েছি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে বিএনপি’র সঙ্গে এ বৈঠক হয়েছে। কালকে উনারা জানিয়েছিলেন আজকে আসবেন। এর আগেও এরকম অনেক সংলাপ হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমাদের প্রচুর কথা হচ্ছে। এটার অংশ হিসেবে আজকে বিএনপি’র সঙ্গে কথা হয়েছে। কোনো অগ্রগতি হলে আপনারা জানবেন। প্রেসিডেন্ট ইস্যুতে বিএনপি’র সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, বিএনপি তো বের হয়ে আপনাদের ব্রিফিং করেছে, সেটা তাদের জিজ্ঞেস করবেন, আমাদের তরফ থেকে আমরা একই কথা বার বার বলছি যে, রাজনৈতিক দল আমাদের অংশীজন তাদের সঙ্গে আমাদের অনেকগুলো সংলাপ হচ্ছে, এটা চলমান ডায়ালগ, সেটার অংশ। যদি কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত হয় সেটা আমরা জানিয়ে দেবো। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার অসুস্থতার গুজব নিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রচুর কল পেয়েছি, প্রফেসর ইউনূসের স্বাস্থ্য নিয়ে অনেকে ইনকোয়ারি করেছেন। আমরা জানাতে চাই, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ এবং ভালো আছেন। প্রতিদিনই তিনি মিটিং করেন, তার ছবি দিচ্ছি আমরা। কালকেও অনেকগুলো মিটিং করেছেন। আজকেও তিনি বিএনপি’র সঙ্গে মিটিংয়ে ছিলেন।

Facebook Comments Box


More News Of This Category
bdit.com.bd