গণশক্তি ডেস্কঃ ।
এ সময় তিনি বলেন, যারা অন্যায়ের সাথে জড়িত, সেটা জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ, বিএনপি হউক না কেন, তাদের অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করা কিন্ত যারা অপরাধ করেনি, দোষি না, তাদের রাজনীতি থেকে বিরত রাখার পক্ষে আমরা নই। কোন দলকে নিষিদ্ধ করে বাইরে রাখা বরং অংশগ্রহণমুলক নির্বাচনের জন্য তা অন্তরায়।
নির্বাচন প্রসঙ্গে মোস্তফা বলেন, অন্তবর্তিকালীন সরকারের ১শ’ দিন অতিবাহিত হলেও তারা নির্বাচনের কোন রোডম্যাপ দিতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে তারা ব্যর্থ। কেননা অন্তবর্তিকালীন সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে একটা অংশগ্রহণমুলক নির্বাচন দেয়া। যেটার অপেক্ষায় দেশের মানুষ ১৭ বছর ধরে। অথচ তারা একেক সময় একেক কথা বলছেন, যার কারনে মানুষের মনে নানা বিষয়ে দানা বাধছে।
আরো খবর জানতে ক্লিক করুন
কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেত্রীকে ‘ছাত্রলীগ বানিয়ে’ হয়রানির চেষ্টা
তিনি আরো বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অত্যন্ত উচু মানের মানুষ। কিন্তু উনি তো কোন রাজনীতি করেন নাই, দেশ পরিচালনা করেন নাই। এজন্য দেশ পরিচালনায় অনেক ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কিছুটা উন্নতি হলে অন্যান্য সব সেক্টরেই সমস্যা। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে পুলিশ একেবারে নিষ্ক্রিয়। পুলিশ সক্রিয় না হলে নির্বাচন কিভাবে হবে। পুলিশের কাজ তো আর্মি দিয়ে হবে না। কেননা ভোট সেন্টার পুলিশ ছাড়া কে পাহারা দিবে। তাই পুলিশকে সক্রিয় করতে হবে সবার আগ
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের ব্যাপারে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা উঠেছে কিন্তু জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের কথা এখনও উঠে নাই। যখন উঠবে তখন দেখা যাবে। প্রধান উপদেষ্টার ডাকে ডায়লগের বিষয়ে বাইরে থেকে আলোচনা হলেও কোন উপদেষ্টা এখন পর্যন্ত কিছু বলে নাই। ডায়লগে কে ডাকলো, কে ডাকলো না, সেটা বিষয় না। জাতীয় পার্টি নিজেদের শক্তি সামর্থ বাড়াতে নিজেদের দলকে সুসংগঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছে ।নির্বাচন প্রসঙ্গে জাপা নেতা মোস্তফা বলেন, জাতীয় পার্টি একটি বৃহৎ দল। জাতীয় পার্টি ছাড়া দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা অংশগ্রহণমুলক হবে না।
রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ওৎজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাকসহ বিভাগের ৮ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পা
দকগণ।