মোঃ সাবিউদ্দিন: সারাদেশে এখন তীব্র শীত। এ সময় ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে সুরক্ষা থাকার জন্য বাসা-বাড়ির বাইরে খুব বেশি বের হওয়া হয় না আমাদের। যদি কোনো প্রয়োজনে বের হতেই হয়, তাহলে গরম পোশাক থাকে। কিন্তু গায়ে যতই পোশাক থাকুক না কেন, শীত কিন্তু ঠিকই তাড়িয়ে বেড়ায় আমাদের।
শীতে শরীর গরম রাখা অত্যন্ত জরুরি। ছোট বাচ্চা থেকে বয়স্ক, সবার জন্যই এ সময় স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে। শীতে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে শরীর গরম রাখার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। গরম পোশাক পরার বাইরে কিছু খাবারও শরীর গরম রাখতে সহায়তা করে। দেশের একটি সংবাদমাধ্যমে শীতে শরীর গরম রাখার খাবার সম্পর্কে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ।
এ পুষ্টিবিদ জানিয়েছেন, শীতে সেসব খাবার বেশি খেতে হয় যা হজম হতে বেশি সময় নেয়। মূলত সেসব খাবার শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে আপনাকে উষ্ণ বোধ করতে সহায়তা করে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এটাকে বলা হয় থার্মোজেনেসিস। প্রক্রিয়াটি হচ্ছে খাদ্য বিপাককরণের মাধ্যমে শরীরে তাপ উৎপাদনে সাহায্য করা। এ জন্য শীতে স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন ও জটিল কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খেতে হয়। কারণ এসব খাবার হজম হতে সময় বেশি নেয় এবং শরীর উষ্ণ করতে সহায়তা করে।
মধু: শীতে শরীর গরম রাখার জন্য হালকা গরম পানিতে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। মধু সর্দি-কাশি থেকে দূরে রাখবে আপনাকে। আর এটি প্রাকৃতিকগতভাবে উষ্ণ খাবার হওয়ায় শরীর গরম থাকে।
ডিম: শক্তির পাওয়ার হাউজ বলা হয় ডিমকে। এটি শুধুই শরীর গরম রাখে না। এতে প্রোটিন ও ভিটামিন রয়েছে। যা শরীরকে শীতে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। এ জন্য শীতে নিয়মিত একটি করে ডিম খেতে পারেন।
রকমারি মসলা: শীতে শরীর গরম রাখতে মসলাও দারুণ কার্যকর। আমরা বিভিন্ন খাবারে মসলার ব্যবহার করি। এ জন্য এটি সহজেই খাদ্যতালিকায় থেকে যায়। শীতে আদা, জিরা, গোলমরিচ ও দারুচিনি রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়। আবার রান্নার মসলার বাইরে চা-স্যুপে আদা ব্যবহার করা যেতে পারে। জিরাও খেতে পারেন। এসব উপাদান দীর্ঘক্ষণ শরীর গরম রাখে।
ড্রাই ফ্রুটস: শীতে শরীর গরম রাখার জন্য ড্রাই ফ্রুটস (শুকনা ফল) দারুণ কার্যকর। কাঠবাদাম, কাজুবাদাম বা আখরোট হচ্ছে চর্বির উৎস। এসব উপাদান শরীরকে উষ্ণ ও তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। খেজুর ও কিশমিশও খেতে পারেন। খেজুর হচ্ছে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার। গর্ভবতী নারীরা দিনে এক মুঠো করে ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারেন। সদ্য মা হওয়া নারীরাও খেতে পারেন। আর যেসব বাচ্চারা এসব ফল খেতে চান না, তাদের গুঁড়া করে দুধ বা হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।
তিল: তিলও শরীর গরম রাখে। ক্যালসিয়াম ও আয়রনে ভরপুর তিলে গুড় মিশিয়ে লাড্ডু বানাতে পারেন। শীতে শরীর গরম রাখার জন্য দারুণ কার্যকর এটি। এ ছাড়া ত্বক ভালো রাখতেও উপকারী তিল।
আয়রন-সমৃদ্ধ খাবার: শীতে স্বাভাবিকভাবেই সবার হাত-পা ঠান্ডা থাকে। এ জন্য আয়রনের ঘাটতি বা রক্তশূন্যতা থাকার সম্ভাবনা থাকে। আর শরীরে অক্সিজেন বহনের জন্য আয়রন গুরুত্বপূর্ণ। আয়রনজাতীয় খাবার শরীর গরম রাখতে সহায়তা করে। এ জন্য রেড মিট (গরু, খাসি), কলিজা, হাঁস ও মুরগির মাংস খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া কলা, কচু, লালশাক, শিম, শিমের বিচি, ডাঁটাশাক, কাঁচকলা, ধনেপাতা, শালগম, মটরশুঁটি, আপেল, বেদানা, ওটস,লাল চাল ইত্যাদি। ফলের মধ্যে কিশকিশ, কুমড়ো বিচি, আখরোট, বাদাম ও খেজুরও খেতে পারেন শরীর গরম রাখার জন্য।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃরাকিবুল ইসলাম বার্তা সম্পাদক: এম ডি মাহফুজ রহমান। নির্বাহী সম্পাদক:এ কে এম জায়েদ
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : পুরাতান কাটাইখানা মোড়, কুষ্টিয়া
Email- [email protected]
Mobile : 01782664066
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪