স্টাফ রিপোর্টার(ফুলবাড়িয়া): ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ ফুলবাড়িয়া জোনাল অফিসে বিল দিতে এসে ছিনতাইকারী হিসাবে ধাওয়া দেওয়া হয়েছে এক কলেজ ছাত্রকে।
গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভোক্তভোগির সাথে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
জানা যায়, ফুলবাড়ীয়া কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র রাহাত হোসেন রাব্বী। পিতা জামাল উদ্দিন ওরফে জামান এর নামে এপ্রিল/২৪ মাসের বিল পরিশোধের জন্য সকাল ১০টার দিকে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দ্বিতীয় তলায় ক্যাশ শাখায় যায়। অফিসার (ক্যাশ) শিরিন শিলা জানান ভাংতি নাই। নিচে নেমে ১ হাজার টাকার ভাংতি নিয়ে আবারও দ্বিতীয় তলায় গেলে বিল নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন ক্যাশিয়ার। জানান আমাদের কর্মবিরতি চলছে। আপনি ব্যাংকে অথবা বিকাশের দোকানে গিয়ে বিল পরিশোধ করেন।
ঐ ছাত্র (গ্রাহক) বলেন, আমি যখন প্রথমবার আসলাম তখনই বলতে পারতেন, আপনাদের আন্দোলনের কথা। এখন আমি দুইবার গিয়ে কষ্ট করে টাকা ভাঙ্গিয়ে আনার পর বলেন, এমন কথা, এটা কি ঠিক? চলে বাক বিতন্ডা। এক পর্যায়ে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আরিফুল হক ঐ গ্রাহককে ধমকিয়ে নিচে নামিয়ে দেন। নিচে আন্দোলনে থাকা অপরকর্মীরা রাব্বীকে চলে যেতে বলেন, ঐ সময় রাব্বী তাদের ছবি তুলে। এই ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে রাব্বির সাথে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারী রুবেল গংদের ধস্তাধস্তি হয়।
এক পর্যায়ে রাববীকে তারা চোর ও ছিনতাইকারী বলে ধাওয়া দিতে থাকে। দোকানে থাকা লোকজন এগিয়ে এলে রাব্বী রক্ষা পায়। বিষয়টি অভিভাবক ও কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনার প্রস্তুতি শুরু হয়। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বিষয়টি নিয়ে ফুলবাড়ীয়া কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সভা হয়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আমজাদ হোসেন, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদুজ্জামান ও পল্লী বিদ্যুৎ ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আরিফুল হক, ছাত্র অভিভাবক সমন্বয়ে একটি সভা হয়। ছাত্র (গ্রাহক) রাবিবর কাছ থেকে ঘটনার পূর্ণ বিবরণ শুনা হলে এক পর্যায়ে ডিজিএম তার ভুল স্বীকার করেন এবং ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা ক্লাশে ফিরে যায়া।
কলেজ পোষাক ও আইডি কার্ড থাকা অবস্থায় একজন শিক্ষার্থী (গ্রাহক) ছিনতাইকারী অপবাদ দেওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।