মোঃ সাবিউদ্দিন: ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় ফকিরের বাৎসরিক ওরস মোবারককে বেদায়াত দাবি করে হামলা ও ভাংচুর করেছে একটি চক্র। হামলায় কেরামত ফকির নামে একজন গুরুতর আহতসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। কেরামত ফকিরকে ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ফুলবাড়িয়ার পুটিজানা ইউনিয়নের গাড়াজান ইয়াদ আলী ফকির বাড়িতে বুধবার রাত দশটার দিকে মজিবুর রহমান, রফিক ও ফরহাদের নেতৃত্বে স্থানীয়রা এ হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
গাড়াজানের ইয়াদ আলী ফকিরের ছেলে নেওয়াজ আলী, আমজাদ ফকির ও বিল্লাল ফকির এবং তাদের ভাতিজা মৃত ইছব ফকিরের ছেলে রশিদ ফকির জানান, দীর্ঘ ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে ইয়াদ আলী ফকিরের মাজারে তারা বাৎসরিক ওরস মোবারক করে আসছেন। প্রতি বছর ১০ জানুয়ারি এই ওরস মোবারক পালিত হয়। গত বুধবার এই বাৎসরিক ওরস মোবারক উপলক্ষে ইয়াদ আলী ফকিরের মাজার এবং মাজার সংলগ্ন ঐ বাড়ির আঙ্গিনায় সকাল থেকে কোরানখানী দোয়া মোনাজাত চলে। সন্ধ্যা থেকে মাজার সংলগ্ন জিকির চলতে থাকে। জিকিরে মাইকের ব্যবস্থা ছিল। মাজারে জিকির বন্ধের কৌশল হিসেবে স্থানীয় বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান, জামাত শিবির কর্মী রফিক ও ফরহাদের নেতৃত্বে কতক লোকজন ইয়াদ আলী ফকিরের বাড়ির সামনে পাকা সড়কে হঠাৎ করেই ওয়াজ মাহফিলের নামে মাইকযোগে মাহফিল শুরু। রাত দশটার দিকে ঐ মাহফিল থেকে লাঠিসোঠা নিয়ে ইয়াদ আলী ফকিরের মাজারে ওরস মোবারকে জিকির চলাকালে হামলা করে। হামলাকারীরা মাজারে আসা লোকজন, ইয়াদ আলী ফকিরের সন্তান এবং ওয়ারিশানসহ বাড়ির লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলাকারীরা মাজারে আসা কয়েকটি ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, ভ্যান রিক্সা, মাজারের লাইটিং ও কাফেলা ভাংচুর ও ক্ষতিগ্রস্থ করে। এ সময় কেরামত আলী ফকিরসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এর মাঝে কেরামত আলী ফকিরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে অভিযুক্তদের মাঝে মজিবুর রহমানকে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সব বেদায়াত। তাই স্থানীয়রা প্রতিবাদ করে আসছে। ভাংচুর মারধর সম্পর্কে তিনি বলেন তারা নিজেরাই ভাংচুর করেছে। ফুলবাড়িয়া থানার ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।