মোঃ সাবিউদ্দিন: ময়মনসিংহের সুযোগ্য জেলা প্রশাসনকে একটি দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও জনবান্ধব প্রশাসন হিসাবে গড়ার মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনকে একটি জনকল্যাণকর প্রশাসন হিসাবে জনগনের দূরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক (ডিসি) দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
ময়মনসিংহে যোগদানের পর থেকেই অবহেলিত ময়মনসিংহ জেলার উন্নয়নে নিরলস কাজ করাসহ দালাল, ঘুষ, দূর্নীতি, মাদকমুক্ত মডেল জেলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে চলেছেন তিনি। ময়মনসিংহবাসী পেয়েছেন অক্লান্ত পরিশ্রমী এক অভিভাবককে। অসহায়, দারিদ্র, নিপিড়িত তথা সুবিধা বঞ্চিত লোকজন ময়মনসিংহে দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর যোগদানে তাদের আস্থার জায়গা খুঁজে পেয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডিসি দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী এ জেলায় যোগদানের মাত্র ৮০ দিনে দক্ষতা ও সততার মাধ্যমে সর্বস্তরে সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি এর আগে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। সুনামগঞ্জ জেলায় সফলতারসাথে দায়িত্ব পালন করে গত (৬ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহে জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসাবে যোগদান করার মুহূর্তে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে ছিল ময়মনসিংহ- জামালপুর জেলার মধ্যে ছিল উত্তাল। ঐ দিনই দুপুর ১২ টায় ঢাকা -ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ কর্মসূচীর ডাক দিয়েছেন ময়মনসিংহের সর্বস্তরের নাগরিকগন।
তিনি যোগদান করে তড়িগড়ি করে সর্বস্তরের নাগরিক সমাজকে তার সম্মেলন কক্ষে আহবান করে টালমাটাল পরিস্থিতি ১ ঘন্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আনেন। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা বৈঠকে ময়মনসিংহের নাগরিক আন্দোলন ও সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা তার ডাকে সাড়া দিয়ে অবরোধ কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নিতে সক্ষম হোন। তিনি গত ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন এবং একটি স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
এছাড়াও গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের আলালপুর নামক স্থানে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ৭ জন নিহত ও ১জন আহত হন। গত ২৫ ডিসেম্বর ময়মনসিংহে ট্রেনের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন। এ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের মাঝে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর নির্দেশনায় ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.বি.এম আরিফুল ইসলাম নিহত প্রত্যেককে ২০ হাজার এবং আহত মেয়েটির জন্য ১৫ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন। মানবিক কাজে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে পাশে পেয়ে উচ্ছসিত ময়মনসিংহবাসী।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একাধিক লোকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, জেলা প্রশাসকের আসনে একজন যোগ্য ব্যক্তির আগমন ঘটেছে ইতিমধ্যে ময়মনসিংহবাসী তা বুঝতে পেরেছে। জেলা প্রশাসক জনাব চৌধুরীর এমন কর্মতৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশা করছি। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আসা সকলের বক্তব্যে সন্তুষ্টি এবং আস্থা ফুটে উঠেছে। তাই সকলেই জেলা প্রশাসকের সুস্থ্যতা এবং দীর্ঘায়ু কাম করেন।
এছাড়াও এর আগে তিনি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব পদেও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক হিসেবে ময়মনসিংহকে মডেল ময়মনসিংহ গড়ার অনন্য ভূমিকা রাখবেন এবং সরকারের অর্পিত সম্পত্তি রক্ষার ক্ষেতে অগ্রনীয় ভূমিকা পালন করবেন বলে মাকসুদ অভিজ্ঞ মহল আশা প্রকাশ করেছেন।