• বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
প্রকাশিত সংবাদের একাংশের প্রতিবাদ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর বক্তব্য তৃণমূল নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরেন আবু জাহিদ ডাবলু  সাতক্ষীরা পৌর বিএনপির ৯নং ওয়ার্ডে দোয়া ও ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে ৮ নম্বর ধুলিহর ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে অধ্যাপক মোদাচ্ছেরুল হক হুদার স্মরণে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরায় সাংবাদিকবৃন্দের সম্মানে শহর ছাত্রদল এর ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরায় বিএনপির প্রশিক্ষণ সভায় তারেক রহমান কালিগঞ্জের তারালী ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি বিতর্কে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিক্ষোভ সাতক্ষীরায় যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার রাষ্ট্রপতির আদেশে ১০ দিনের মধ্যে নাটকীয় পরিবর্তন জামায়াতে ইসলামী একটি ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র গঠন করতে কাজ করে যাচ্ছে: শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে খোরশেদ আলম

জিআই পন্য হিসেবে স্বীকৃতি পেল ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মন্ডা

Reporter Name / ৫৩১ Time View
Update : সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মোঃ সাবিউদ্দিন: এবার বিশ্ব মঞ্চে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মন্ডা ভৌগোলিক নির্দেশক অর্থাৎ জি আই পন্য হিসেবে স্বীকৃতি পেল। আজ নতুন করে মুক্তাগাছার মন্ডা সহ বাংলাদেশের চারটি পন্য ভৌগোলিক নির্দেশক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

শিল্প মন্ত্রণালয়েরর আওতাধীন পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (DPDT) নতুন চারটি পন্যের ভৌগোলিক নির্দেশক(GI) ইস্যু সনদ করেন।

ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) হচ্ছে কোনো সামগ্ৰীর ব্যবহার করা বিশেষ নাম বা চিহ্ন। এই নাম বা চিহ্ন নিৰ্দিষ্ট সামগ্ৰীর ভৌগোলিক অবস্থিতি বা উৎস (যেমন একটি দেশ, অঞ্চল বা শহর) অনুসারে নিৰ্ধারণ করা হয়। ভৌগোলিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সামগ্ৰী নিৰ্দিষ্ট গুণগত মানদণ্ড বা নিৰ্দিষ্ট প্ৰস্তুত প্ৰণালী অথবা বিশেষত্ব নিশ্চিত করে। ভৌগোলিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিভিন্ন সামগ্ৰী নিৰ্দিষ্ট অঞ্চলটিতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করার অধিকার এবং আইনি সুরক্ষা প্ৰদান করে।

বাংলাদেশের চতুর্থ ভৌগলিক নির্দেশক হিসেবে ৬ ফেব্রুয়ারি বিজয়পুরের সাদা মাটি নিবন্ধিত হয়েছিল এবং ১৭ই জুন ২০২১ সালে এর সনদ ইস্যু করা হয়। আজ দেশের ২৬ তম ভৌগোলিক নির্দেশক হিসেবে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মন্ডা সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলো।

মুক্তাগাছার মন্ডাসহ আরও যে তিনটি বাংলাদেশের পন্য জি আই স্বীকৃতি পেয়েছে সেগুলো হলো মৌলভীবাজারের আগড়, মৌলভীবাজারের আগড় আতর এবং রংপুরে হাড়িভাঙা আম।

এছাড়াও এ সপ্তাহে আরও যে দুটি বাংলাদেশের পন্য ভৌগোলিক নির্দেশক বা জি আই স্বীকৃতি পাবে তার মধ্যে একটি হলো জামালপুরের নকশীকাঁথা এবং অপরটি যশোরের খেজুরের গুড়।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে দেশের ২২ তম জি আই পন্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল টাঙ্গাইলের শাড়ি। সেই ২২ টি ভৌগোলিক নির্দেশক পন্যের সাথে আজকে আরও ৪টি যুক্ত হয়েছে বর্তমানে জি আই পন্যের সংখ্যা দাঁড়িয়ে ২৬ টি। আগামী সপ্তাহে বাকী দুইটি পন্য যুক্ত হলে সেটি সংখ্যায় ২৮ এ গিয়ে দাঁড়াবে।

বাংলাদেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে ১৭ নভেম্বর ২০১৬ সালে জামদানি স্বীকৃতি পায়।

১৭ আগস্ট ২০১৭ পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশকে বাংলাদেশী পণ্য হিসাবে বিশ্ব স্বীকৃতি অর্জনের কথা ঘোষণা করে। এর ফলে ইলিশ বাংলাদেশের দ্বিতীয় ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হয়।

২৭ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে খিরসাপাত আমকে বাংলাদেশের ৩য় ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (খাদ্যদ্রব্য) হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর মসলিনকে বাংলাদেশের চতুর্থ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল রাজশাহী সিল্ককে ৫ম, রংপুরের ৭০০ বছরের ঐতিহ্যের ধারক বাহক শতরঞ্জিকে ৬ষ্ট, চিনিগুঁড়া চালকে ৭ম, দিনাজপুরের কাটারিভোগকে ৮ম এবং বিজয়পুরের সাদা মাটিকে ৯ম জিআই পণ্য বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল বাগদা চিংড়িকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়। এটি বাংলাদেশের দশম জিআই পন্য।

রাজশাহীর বিখ্যাত ফজলি আম ( ১১ তম জিআই পণ্য,২০২২)

২০২৩ সালের ৫ই জুলাই আরোও ৪টি পণ্যকে জি আই পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পণ্যগুলা যথাক্রমে, বগুড়ার বিখ্যাত দই, শেরপুরের তুলসীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম।

১৬ তম জি আই পণ্যের স্বীকৃতি পায় বাংলাদেশের সিলেটের শীতলপাটি।(২০ জুলাই ২০২৩)

১৭ তম জি আই পণ্যের স্বীকৃতি পায়- নাটোরের কাঁচাগোল্লা। (৮ আগস্ট ২০২৩)

৯ জানুয়ারি ২০২৪ জি আই পণ্য হিসেবে টাংগাইলের চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল কে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।


More News Of This Category
bdit.com.bd