চুয়াডাঙ্গায় যুবদলের জন্মদিন উদযাপন শেষে বাড়ি ফেরার পথে ছাত্রদলের একটি গ্রুপ দামুড়হুদা উপজেলা যুবদলের আহবায়কসহ পাঁচ জনকে কুপিয়ে ও লাঠিপেটা করে আহত করেছে। স্থানীয় ও সহকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে দাবি করা হয়েছে। দলীয় সূত্রের দাবি, ঘটনার নেপথ্যে রাইসার বিলে মাছ ধরা।
রোববার দুপুরে জেলা শহরের সিঅ্যান্ডবি পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- দামুড়হুদা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান জনি ঔ(৩৫), উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আফজানুর রহমান সবুজ (৩৪), যুবদলের নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০), মোস্তাফিজির রহমান সুমন (৩৫) ও সেলিম (২৬)।
হামলায় গুরুতর আহত মাহফুজুর রহমান জনি হামলার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ চত্বরে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই এলাকায় পৌঁছালে ছাত্রদলের একটি গ্রুপ তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ। পরে অতর্কিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে পাঁচ জনকে আহত করে। এসময় স্থানীয় ও সহকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশীদ ঝন্টু জানান, মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গা ছাত্রদলের ছেলেদের সঙ্গে দামুড়হুদা যুবদলের ছেলেদের দ্বন্দ্ব আছে শুনেছি। তবে কী কারণে হামলা তা সঠিক জানিনা।
অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাজন জানান, গত ২৫ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শাহাবাজ হোসেন টিঙ্কু কুড়ালগাছি রাইসার বিলে মাছ ধরতে যান। এসময় দামুড়হুদা যুবদলের নেতা মাহফুজুর রহমান জনি ও ছাত্রদলের নেতা আফজানুর রহমান সবুজ তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। ওই ঘটনার জের ধরে এ হামলা হয়ে থাকতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদুর রহমান জানান, হামলার খবর পেয়েছি। আহতরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানানো হয়েছে।