মোঃ সাবিউদ্দিন:
রাজধানীর যানজট এড়িয়ে দূর পাল্লার বাহনগুলো যাতে দ্রুত সময়ে দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে পারে সেটাই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের লক্ষ্য। এতে রাজধানীর ভেতরে গাড়ির চাপ যেমন কমবে তেমনি যানজটে নষ্ট হবে না কর্মঘণ্টা।
সাড়ে ১৯ কিলোমিটারের এই পথের মধ্যে সাড়ে ১১ কিলোমিটার পথের উদ্বোধন হচ্ছে আজ। রোববার থেকেই শুরু হবে দেশের সবচেয়ে বড় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল।
২০১১ সালে উত্তরা থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত একটি নতুন পথ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। যে পথটি হবে রাজধানীর ভেতর দিয়ে যাওয়া রেল লাইনের ওপর দিয়ে। যেটি হবে ১৯ কিলোমিটারের একটি উড়াল পথ।
নকশা ও পরিকল্পনার জটিলতা, অর্থ সংস্থানসহ নানা কারণে প্রকল্পটি কয়েক দফা পিছিয়েছে। ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানীতে এমন একটি পথ তৈরিতে জমি অধিগ্রহণেই লেগেছে অনেকটা সময়। সরাতে হয়েছে ৯ হাজারের বেশি বসতি।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কাজ করা কর্মীরা জানান, শুরু থেকে তারা এই প্রকল্পে কাজ করার সময় নানান ধরনের জটিলতা পেরিয়েছেন। এখন উদ্বোধনের সময় আসায় তারা খুশি।
১৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকার এই প্রকল্পে ছিলো সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের যৌথ বিনিয়োগ। যেখানে সরকারের ব্যয় দুই হাজার ৪শ’ ১৩ কোটি টাকা।
সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন জানান, তাদের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হয়েছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যে কোনো প্রান্ত থেকে উঠলেই টোলের পরিমাণ একই হবে। ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য ৮০ টাকা, বাসের জন্য ১৬০ টাকা। আর সর্বোচ্চ টোল থাকছে ৪শ’ টাকা।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আকতার বলেন, আমাদের যে অংশ রোববার থেকে জনসাধারণের জন্য খুলছে- সেখানে আমরা ৬টি টোল প্লাজা স্থাপন করেছি। যা ওঠার সময়ই পথে পড়বে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মূলত ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণে যাতায়াতের একটি বিকল্প পথ। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে যাকে আরও একটি মাইলফলক হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।