• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম

ফুলবাড়িয়ায় ভিজিএফ চাউল ওজনে কম দিয়ে কালোবাজারি চক্রের নিকট বিক্রির অভিযোগ

Reporter Name / ৭৯ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪

সাইফুল ইসলাম তরফদার (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কুশমাইল ইউনিয়নে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দুস্থ অসহায়দের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার (ভিজিএফ) কর্মসূচি চাল বিতরণ করছে। তার সিংহভাগ (ব্যবসায়ী) কালোবাজারি দের অধীনে চলে যায় ।ভিজিএফের চাল ওজনের কম দিয়ে দুস্থদের ভিজিএফ চাউল এক কালোবাজীর চক্রের নিকট বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে ভিজিএফ বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে কালোবাজারীদের হাট বসেছে কুশমাইল ইউনিয়নে।গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভিজিএফ কার্ডধারীদের মধ্যে ১০কেজির স্থলে ছয় থেকে সাত কেজি করে চাউল বিতরণ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, চেয়ারম্যান, ট্যাগ অফিসার,পরিষদের সচিবসহ সবাই যোগসাজশে ওজনের কম দিয়ে সিংহভাগ মাল কালোবাজারী চক্রের নিকট বিক্রি করা অভিযোগ উঠেছে। সচেতন মহলের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসনের সঠিক তদারকি না থাকায় কুশমাইল ইউনিয়নের ভিজিডি ও ভিজিএফ বিতরণে কালোবাজারীদের হাট বসে। নাম মাত্র কিছু মাল বিতরণ দেখিয়ে সিংহভাগ মাল কালোবাজারী চক্রের মাধ্যমে কালোবাজারে পাচার করা হয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কুশমাইল ইউনিয়নে ২৪৪৫ টি ভিজিএফ কার্ডধারীদের বরাদ্দ দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক কার্ডধারীকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু কার্ডধারীদের ছয় থেকে সাত কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, সরকার আমাদের ১০ কেজি করে চাল দিছে। আর আমি পাইছি ছয় হতে সাত কেজি হবে।

একই এলাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় আমাদেরকে চাল ওজনে কম দিয়েছে। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।

ওই ইউনিয়নের ভিজিএফের চাল বিতরণ কার্যক্রম তদারকি কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা অফিসার কে বিতরনে পাওয়া যায়নি।সে বাজারে বসে চা খাচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক এ এমজি গোলাম মোস্তফা বরাদ দিয়ে জানাযায়, ৩নং কুশমাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে নোবেল দেওয়া উচিত।
ফ্যাক্ট: জনরোষ থেকে বাঁচতে কেমনে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বারবার পলায়ন করতে হয় এই বুদ্ধিটা আবিস্কার করার জন্য।)
উনার কার্যকলাপের জন্য উনাকে উপজেলা পরিষদের সামনে এনে জুতাপেটা করা উচিত। লোভী, স্বার্থপর, চোর একটা চেয়ারম্যান। যা কুশমাইল ইউনিয়নবাসীর জন্য কলঙ্ক। বার বার উনাকে কেন পরিষদ থেকে পলায়ন করতে হয়, এটা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকদের তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করছি।

৩ নং কুশমাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন পুলু হতদরিদ্রদের চাপে সে পরিষদ থেকে পালিয়ে যায়।একাধিক বার ফোন করে ও পাওয়া যায়নি।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কাবেরী জালাল জানান, তদারকির জন্য ট্যাগ অফিসার রয়েছে। তার পরেও কোন অনিয়ম হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেওয়া হবে।

Facebook Comments Box


More News Of This Category
bdit.com.bd